মিরাজের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ফলোঅনে উইন্ডিজ
উইকেট থেকে দারুণ সহায়তা পাচ্ছেন স্পিনাররা। বল ভীষণ টার্ন এবং স্কিড করছে। কখনও লাফিয়ে উঠছে এবং নিচু হয়ে যাচ্ছে। এর পুরো ফায়দা লুটলেন মেহেদী হাসান মিরাজ-সাকিব আল হাসান।
তাদের বল পড়তেই পারলেন না সফরকারী ব্যাটসম্যানরা। বলির পাঁঠা হয়ে একে একে ফিরে গেলেন তারা। সবশেষে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিলেন শারমন লইস। তাকে এলবিডব্লিউ করে উইন্ডিজকে ১১১ রানে অলআউট করলেন সাকিব। এতে ৩৯৭ রানে পিছিয়ে ফলোঅনে পড়লেন অতিথিরা।
এ নিয়ে নিজেদের ১৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে কোনো দলকে প্রথমবারের মতো ফলোঅন করালো বাংলাদেশ। এখন ইনিংস জয়ের পালা।
ফলোঅনের শঙ্কা নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলোঅন এড়াতে নতুন দিনে দরকার ছিল ২৩৩ রান। আগের দিনের ৫ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন খেলতে নামে সফরকারীরা। শিমরন হেটমায়ার ৩২ ও শান ডাওরিচ ১৭ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবেই তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল তারা।
তবে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি এ জুটি।শুরুতেই মেহেদী হাসান মিরাজের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন হেটমায়ার। ফেরার আগে ৫৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ রান করেন তিনি। সেই রেস না কাটতেই দেবেন্দ্র বিশুকে সাদমান ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মিরাজ। এ নিয়ে ৫ উইকেটে কোটা পূরণ করেন তিনি।
এতেই ক্ষ্যান্ত হননি মিরাজ। পরক্ষণেই লিটন দাসে তালুবন্দি করে দেবেন্দ্র বিশুকে ফেরান এ অফস্পিনার। সবাই নিয়মিত বিরতিতে যাওয়া-আসা করলেও একপ্রান্ত আঁকড়ে ছিলেন ডাওরিচ। অবশেষে তাকেও উপড়ে ফেলেন তিনি। নির্ভরযোগ্য এ ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউ ফাঁদে ফেলে ৫৮ রানে ৭ উইকেট শিকার করেন সম্ভাব্য সাকিব উত্তরসূরি। এটি তার ক্যারিয়াসেরা বোলিং। আগেরটি ছিল ৭৭ রানে ৬ উইকেট, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালে।
এ নিয়ে বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে ইনিংসে সাত বা এর বেশি উইকেট পেলেন মিরাজ। দেশের হয়ে এ কীর্তি আছে তিনজনের-এনামুল হক জুনিয়র, সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৫৪ ওভারে ৫০৮ (সাদমান ৭৬, সৌম্য ১৯, মুমিনুল ২৯, মিথুন ২৯, সাকিব ৮০, মুশফিক ১৪, মাহমুদউল্লাহ ১৩৬, লিটন ৫৪, মিরাজ ১৮, তাইজুল ২৬, নাঈম ১২*; বিশু ২/১০৯, রোচ ২/৬১, ওয়ারিক্যান ২/৯১, চেজ ১/১১১, লুইস ১/৬৯।